আমার আমি

নিজে দিতে পারে না আবার বড় বড় বাণী ছাড়ে... জীবনে অনেক বার চুপ হয়ে গেছি এরকম কথা শুনে। তবে থেমে যাই নি কখনো... বিপদে মানুষের পাশে দাড়িঁয়েছি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে। বলতে লজ্জাবোধ করি না, জন্ম নিছি দিনমজুরের ঘরে, যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো, পড়া শুনার খরচ দেওয়ার মতন সামর্থ বাবার ছিলো না।। নিজের প্রচেষ্টায় এতোদূর আসা, টাকা ছাড়া পৃথিবীতে কিছুই হয় না, কখনো রাতের পর রাত জেগে কাজ করে অর্থের যোগান দিছি কখনো বা বন্ধুদের থেকে নিয়ে।। বন্ধুদের কাছে থেকে সব ধরনের সাপোর্ট পাইছি,ওদের ঋন কখনো শোধ করার মতন না।। কপাল গুনে এমন কিছু বন্ধু পাইছিলাম।। হয়তো জীবনে এমন কোন একটা ভালো কাজ করছিলাম যার জন্যই উপরআলা এরকম কিছু বন্ধু মিলিয়ে দিছে।।। #যাইহোক.... আমি দৃশ্যমান ঈশ্বরে বিশ্বাসি,আমি বিশ্বাস করি মানুষের জন্য করলেই ঈশ্বরের জন্য করা হয়। তাই ঠিক করছি, নিঃশ্বাস যতদিন আছে ততদিন পর্যন্ত সৃষ্টির জন্য সামান্য করে হলেউ করে যেতে চাই।। হয়তো বড় কিছু করতে পারবো না,কেননা কাউকে আর্থিক ভাবে সাহায্যটাই বেশি দরকারি... যেহেতু টাকা নেই তাই শারিরীক শ্রম আর নগন্য মেধা দিয়েই করে যেতে যাই।। #সর্বপরি.... বড়লোক হওয়ার কোন ইচ্ছা নেই,, তবে ভাগ্যক্রমে যদিও বা হয়ে যাই,তাহলে নিজের জন্য যতটা না রাখলেই নয় ততটা রেখে বাকিটুকু বিলিয়ে দিবো ইনশাল্লাহ।। আর, দেখি জীবনের শেষ পর্যন্ত কি হয় সেইটা দেখার অপেক্ষায় ই রয়েছি।। হ্যা মরতে তো হবেই,এটা চিরন্তণ সত্য.. আমার কথা হলো মরার আগে এমন কিছু একটা করো যার জন্য অন্ত্যত একজন মানুষ তার সারা জীবন মনে রাখে তোমাকে।। এটাই একমাত্র চাওয়া।। লিখাটা অনেক বড় হয়ে গেছে, আসলে লেখা শুরু করলে শেষ হতে চায় না, একের পর এক লাইনের পর লাইন মনে ঘুরপাক খেতেই থাকে।। যাইহোক...আর লিখবো না।। বিদায়