পবিত্র বাইবেল গ্রন্থে উল্লিখিত মোশি (হযরত মুসা আ.) ও ফরৌণ (ফেরাউন) সম্বন্ধে জানবো...
ফরৌণ সম্বন্ধে কোনো আলোচনা করতে হলে প্রথমেই জেনে নেওয়া আবশ্যক — ফরৌণ কি বা কে,কারো কারো মতে ফরৌণ কোনো এক ব্যক্তির নাম। আসলে তা নয়। ফরৌণ মিশররাজদের উপাধিমাত্র।
ফরৌণ বলতে যারা কোনো একব্যক্তিকে বোঝেন, তাঁদের মতে, ফরৌণের সর্বোচ্চ কুখ্যাতি হলো যে,
তিনি নিজেকে নাকি ঈশ্বর বলে দাবী করেছিলেন এবং তিনি নাকি বেঁচেও ছিলেন হাজার বছর।
এরূপ দাবী যদি কোনো ফরেীণ করেও থাকেন, তবে তিনি কোন ফরেীণ, সত্যিই এরূপ দাবী করেছেন কি-না, তা ভালোভাবে জেনে নেওয়া আবশ্যক।
কেননা ফরৌণ তো আর দু-চারজন ছিলেন না।
ঐতিহাসিকদের মতে, খৃ: পূ: ৩২০০ অব্দে সম্রাট মেনেস মিশরে ১ম রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন এবং খ. পূ. ৩৩২ অব্দে সম্রাট আলেকজাণ্ডার মিশর অধিকার করার পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ৩০০০ বছর মিশরে ৩১টি রাজবংশ রাজত্ব করে।
এর মধ্যে বহু ব্যক্তি মিশরের রাজ-তত্বে আরোহণ করেন এবং যখনই যিনি আরোহণ করেন, তখন তিনিই 'ফরেীণ আখ্যায় আখ্যায়িত্ব হন। বলা বাহুল্য যে,
এতোধিক ফরেীণগণ যে সবাই একই চরিত্রের মানুষ ছিলেন, নিশ্চয়ই তা নয় এবং তাঁরা যে সবাই একই গুণে গুণী বা একই দোষে দোষী ছিলেন তাও নয়।
হযরত মুসা (আ:) এর সময়ের ফেরাউনের নাম কি তাহলে??
>ইতিহাস বলছে তার নাম ছিল- দ্বিতীয় রামিসেস।
আবার ইতিহাস ঘেটে এটাউ পেলাম- দ্বিতীয় রামিস তৎকালিন সময়ে রামিসেস দ্য গ্রেট বা মহান রামিসেস হিসেবেও পরিচিত, ছিলেন মিশরের উনবিংশতম রাজবংশের তৃতীয় ফারাও রাজা।
 প্রায়শই তাকে মিশরীয় সাম্রাজ্যের সবচেয়ে মহান, সবচেয়ে উদযাপিত ও সবচেয়ে শক্তিশালী ফারাও হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ফরেীণ দ্বিতীয় রামেসিস ছিলেন মোশির(হজরত মুসা আ.) সমকালীন মিশরের শাসনকর্তা।
তাঁর জ্ঞান-বিজ্ঞান, শৌর্য-বীৰ্য, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গুণ-গরিমা বিসর্জন দিয়ে তাকে এক কুৎসিৎ আখ্যায় আখ্যায়িত করা হয়েছে ‘খোদায়ী দাবীদার বলে।
এর কারণ অনুমান করা চলে যে, তিনি কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মান্ধ ছিলেন না, ছিলেন ‘মুক্তমন-এর অধিকারী। মানব সমাজের বিভিন্ন দেশে এরূপ বহু দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়,
যেখানে বহু প্রতিভাবান ব্যক্তির যাবতীয় গুণগরিমা ও সৌরভ-গৌরবকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বাস্তবাদিতার অপরাধে ।

Post a Comment

Previous Post Next Post